প্রবাসী দের নিয়ে বর্তমান সরকারের উদ্যেগ
(অভিবাসী) বাংলাদেশিজদের জন্য বর্তমান সরকার (বাংলাদেশ) বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। কিছু বড় এবং সাম্প্রতিক উদ্যোগ নিচে ব্যাখ্যা করা হলো:
প্রধান উদ্যোগসমূহ
- ই-পাসপোর্ট, ই-ভিসা ও ই-ট্রাভেল পারমিট
সরকার বলেছে যে প্রায় ৫৯টি দেশে বাংলাদেশের মিশনে ই-পাসপোর্ট, ই-ভিসা এবং ই-ট্রাভেল পারমিট কার্যক্রম চালু করা হচ্ছে, যা প্রবাসীদের যাতায়াত এবং প্রশাসনিক জট কমাতে সহায়ক হবে। - দক্ষ এবং আধা-দক্ষ কর্মীদের বিদেশে পাঠানোর পরিকল্পনা
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি চাহিদাসম্পন্ন দক্ষ ও আধা-দক্ষ কর্মীর সুযোগ বৃদ্ধির দিকে সরকার নজর দিচ্ছে। - ভ্রাম্যমাণ কনস্যুলার সেবা
মালদ্বীপে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ভ্রমনশীল (ভ্রাম্যমাণ) কনস্যুলার সেবা চালু করা হয়েছে। - প্রতিশ্রুতি ও আহ্বান
- দেশের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস প্রবাসীদের “দেশ পুনর্গঠনে অংশ নিতে” আহ্বান জানিয়েছেন।
- একইসাথে সরকারের পক্ষ থেকে প্রবাসীদের “কল্যাণ ও সুরক্ষা” বিষয়েও নতুন প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
- রিটার্নি প্রবাসীদের পুনর্বাসন ও পুনঃসংযোজন
- সরকারের “Recovery and Advancement of Informal Sector Employment (RAISE)” প্রোজেক্ট রয়েছে, যা বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় পরিচালিত। এর মাধ্যমে দেশে ফিরে আসা প্রবাসীদের জন্য প্রশিক্ষণ, লোন এবং ব্যবসার সুযোগ সৃষ্টি করা হচ্ছে।
- রিটার্নি প্রবাসীদের জন্য স্বল্পসুদি ঋণ দেওয়া হচ্ছে।
- রেমিটেন্স-সুরক্ষা
- সরকার অর্থ পাচার রোধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে যাতে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স ব্যাংকিং চ্যানেলে সুষ্ঠুভাবে আসে।
- প্রবাসীদের রেমিটেন্স পাঠানোর জন্য উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে।
- প্রবাসীদের নিরাপত্তা ও অভিযোগ-প্রক্রিয়া
- প্রবাসীদের সুরক্ষা বাড়াতে এবং অভিযোগ সমাধানে বিভিন্ন ব্যবস্থার কথা বলা হচ্ছে।
- এছাড়া, প্রবাসীদের প্রতিক্রিয়া (“ক্ষোভ”) সরকারের নজরে এসেছে এবং সরকারের কিছু মন্ত্রীর মন্তব্য এবং নীতিমালার কারণে যে উদ্বেগ রয়েছে, সেটি সংবাদ মাধ্যমে উঠে এসেছে।
চ্যালেঞ্জ ও সমালোচনা
- কিছু প্রবাসী মন্তব্য করেছেন যে তাদের সঙ্গে আচরণ ও নীতিনির্ধারণে “অবহেলা” রয়েছে।
- প্রবাসীদের অধিক অংশ ভোটাধিকার ও ভোটিং প্রক্রিয়ায় আরও সক্রিয়ভাবে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে এখনও স্পষ্ট ও ব্যাপক পদক্ষেপ থাকতে পারে।

Post a Comment