ভুমি



 ইন্ডিয়ান টেকটোনিক প্লেট তথা ‘ডাউকি ফল্ট’র ওপর দাঁড়িয়ে সিলেট। শহর থেকে প্রায় ৫৬ দশমিক ৩ কিলোমিটার দূরে ভূগর্ভস্থ এই ফল্ট। ভৌগোলিকভাবে সিলেটের দক্ষিণ প্রান্তে ডাউকি ফল্ট এবং উত্তর-পূর্বে ভুটান সীমান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত কপিলি ফল্ট দুটিই সিলেটের কাছাকাছি। যেকোনো একটিতে শক্তিশালী ভূমিকম্প হলে ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়তে পারে সিলেট। এই টেকটোনিক প্লেট বা ভূগর্ভস্থ একাধিক চ্যুতি সক্রিয় থাকায় সিলেটকে ভূমিকম্পের ‘ডেঞ্জার জোন’ চিহ্নিত করে সতর্কবার্তা দিয়ে আসছেন বিশেষজ্ঞরা।



বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণত বড় ভূমিকম্পের আগে বা পরে এমন দফায় দফায় মৃদু কম্পন হতে পারে। ২০২১ সালের ২৯ মে একদিনে চারবার এবং ২৪ ঘণ্টায় ৭ বার ভূমিকম্প হয়েছিল সিলেটে। আর সিলেট থেকে খুব বেশি দূরে নয় রাজধানী ঢাকা। ৬ মাত্রার বেশি ভূমিকম্প হলে প্রভাব পড়বে রাজধানীসহ দেশের অনেক অঞ্চলেই।




নরসিংদীর মাধবদীতে ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে ঢাকায় ব্যাপক ক্ষতি ও প্রাণহানির ঘটনায় এবার আলোচনায় এসেছে ডাউকি ফল্ট। বিশেষজ্ঞরা বার বার সতর্ক বার্তা দিয়ে এলেও যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি শূন্যের কোঠায়।




সিলেট ডেঞ্জার জোনে থাকলেও সে তুলনায় নেই প্রস্তুতি। ফলে যেকোনো সময় উচ্চমাত্রার ভূমিকম্পে অবর্ণনীয় ক্ষতির সম্মুখীন হলে কিছুই করার থাকভূতাত্বিক জরিপ অনুযায়ী, এ অঞ্চলে ১৮৯৭ এবং ১৯৮০ সালে বড় ধরনের ভূ-কম্পন অনুভূত হয়। এছাড়াও, নিয়মিতই মৃদু ও স্বল্পমাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে সিলেট। তবে, ২০২১ সালে চব্বিশ ঘণ্টার ব্যবধানে ৭ বার ভূ-কম্পন সবচেয়ে বেশি আতঙ্ক ছড়িয়েছিল।




আসামের এ ভূমিকম্প সিলেটের জন্য সতর্কবার্তা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, এগুলো স্বাভাবিক হলেও আসল উদ্বেগ লুকিয়ে আছে কপিলি ফল্টে জমে থাকা বিপুল শক্তিতে।




শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জহির বিন আলম বলেন, “বাংলাদেশের মধ্যে উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের এলাকাগুলো ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে ভূমিকম্পপ্রবণ। কারণ এখানে বাংলাদেশ, মায়ানমার ও ইউরেশিয়ান তিনটি প্লেট রয়েছে। এই তিনটি প্লেটের মিলনস্থলেই বাংলাদেশের অবস্থিত। তাই যেকোনো সময় এখানে বড় ধরনের একটি ভূমিকম্প সৃষ্টি হতে পারে।”




ভৌগোলিকভাবে সিলেটের দক্ষিণ প্রান্তে ডাউকি ফল্ট এবং উত্তর-পূর্বে ভুটান সীমান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত কপিলি ফল্ট দুটিই সিলেটের কাছাকাছি অবস্থিত। ফলে এদের যে কোনো একটিতে শক্তিশালী ভূমিকম্প হলে সিলেট নগরী ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়তে পারে।




সিলেট সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আলী আকবর বলেন, আমরা ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নিরূপনে কাজ করছি।বে না



Countdown Timer

Post a Comment

Previous Post Next Post