২ লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় বিএনপি কর্মীকে খুন করল যুবদল কর্মীরা
আনোয়ারের স্ত্রী ফারজানা আক্তার সাথী ও তার স্বজনরা জানান, আনোয়ার তার শ্যালককে বিদেশে পাঠানোর জন্য একটি সংস্থা থেকে দুই লাখ টাকা নেন। বিষয়টি জানতে পেরে ইউনিয়ন যুবদলের কর্মী মো. ইউসুফসহ আরও তিনজন ওই টাকা চাঁদা হিসেবে দাবি করেন। গত দুই-তিন দিন ধরে তারা দোকানে এসে নিয়মিত হুমকি দিচ্ছিলেন।
মঙ্গলবার সকালে মোটরসাইকেলে করে ইউসুফ ও আরও দুইজন দোকানে ঢুকে একা থাকা আনোয়ারকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে দ্রুত পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় আনোয়ার দোকান থেকে দৌড়ে বের হয়ে চিৎকার করলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক আমির ফয়সাল জানান, নিহত আনোয়ার হোসেনের বুকে ও পেটে বেশ কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।
ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবদুর রহিম মজুমদার জানান, হত্যাকারী ইউসুফ যুবদলের কর্মী আর আনোয়ার বিএনপির একজন কর্মী হলেও কোনো বড় পদে ছিলেন না। এ বিষয়ে রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবদুল বারী জানান, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মঙ্গলবার সকালে বাগ বিতণ্ডার এক পর্যায়ে আনোয়ার হোসেনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করায় তার মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।

Post a Comment