কে এই বাবা ভাঙ্গা ? সবার অজানা কিছু তথ্য। যা জানা গেলো
Baba Vanga- জানা গিয়েছিল, ১৯৯৬ সালের ১১ অগাস্ট তিনি মারা যান বাবা ভাঙ্গা। আর তাঁর মৃত্যুর পরই তিনি জনপ্রিয়তা পান সারা বিশ্বে।
একাধিক ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন তিনি। অনেকে দাবি করেন, যুগের পর যুগ ধরে তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবে ফলেছে। তবে সবই যে ফলে, এমন নয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী মিলে যায়। সারা বিশ্বের সঙ্গে এতদিনে বাবা ভাঙ্গার পরিচিতি ঘটেছে।
ফরাসি দার্শনিক তথা ভবিষ্যৎদ্রষ্টা নস্ট্রাদামুসে ভবিষ্যদ্বাণী নিয়েও সারা বিশ্বে চর্চা হয়। তবে তার থেকেও বেশি হয় বুলগেরিয়ার বাবা ভাঙ্গাকে নিয়ে। ১৯৮৯ সালে বার্লিন প্রাচীর পতনের ভবিষ্যদ্বাণী, করোনাভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত- একের পর এক ভবিষ্যদ্বাণীতে সবাইকে চমকে দিয়েছেন বাবা ভাঙ্গা।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ হোক বা ভাইরাসের হানা, তিনি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভবিষ্যদ্বাণী মিলিয়ে দিয়েছেন বলে দাবি করেন বহু মানুষ। এমনকী মানব সভ্যতা ও মানুষেক অস্তিত্ব নিয়েও তাঁর অব্যর্থ ভবিষ্যদ্বাণীতে বিশ্বাস করেন অনেকে। সেই বাবা ভাঙ্গাকে নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। তবে তাঁর এই অদ্ভুত নাম নিয়েও মানুষের মধ্যে কৌতুহলের শেষ নেই। আজ তা নিয়েই আমরা আপনাদের জানাব।
বিভিন্ন তথ্য থেকে জানা যায়, ছোটবেলায় এক দুর্ঘটনায় দৃষ্টিশক্তি হারান বাবা ভাঙ্গা। তার পর থেকেই নাকি তিনি ভবিষ্যৎদ্রষ্টা হয়ে ওঠেন। তাঁর পিতৃদত্ত নাম ভ্যানগেলিয়া প্যানদেভা দিমিত্রোভা। তবে লোরমুখে প্রচার পায় বাবা ভাঙ্গা নাম।
বাবা শব্দটির সঙ্গে হিন্দি বা বাংলার কোনও সম্পর্ক নেই কিন্তু। বলগেরিয়ান ভাষায় বাবা শব্দের অর্থ বয়স্ক মহিলা বা ঠাকুমা। জানা যায়, তাঁর জন্ম ১৯১১ সালে। উসমানীয় সাম্রাজ্যের স্ট্রোমিকায় জন্ম তাঁর। বুলগেরিয়ার কুজহু পার্বত্য অঞ্চলের রুপিটিতে তাঁর জীবনের অনেকটা সময় কাটে।
জানা যায়, ছোটবেলার ভয়ঙ্কর ঝড়ের কবলে পড়েছিলেন তিনি। ২দিন নিখোঁজ ছিলেন। সেই সময়ই তাঁর চোখ নষ্ট হয়ে যায়। আরও জানা যায়, অনেক ছোটবেলায় তিনি মাকে হারিয়েছিলেন।
জানা গিয়েছিল, ১৯৯৬ সালের ১১ অগাস্ট তিনি মারা যান। আর তাঁর মৃত্যুর পরই তিনি জনপ্রিয়তা পান সারা বিশ্বে। বাস্তবে তাঁর একের পর এক ভবিষ্যদ্বাণী মিলে যেতে থাকে।
Post a Comment